মাদ্রাসা শিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার

মাদ্রাসা শিক্ষিকার বাড়িতে মানুষের ভিড়
মাদ্রাসা শিক্ষিকার বাড়িতে মানুষের ভিড় © সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিক্ষিকার স্বামীসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঠাকুরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

নিহত সুমাইয়া আক্তার (৪০) ঘিওর সদর ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামের মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী। তিনি ঠাকুরকান্দি পশ্চিমপাড়া জবেদা খাতুন দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক উপজেলার বাইলজুরি বাজারে পোলট্রি ফিডের ব্যবসা করেন। 

মোস্তাক আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাথরুমের সামনে গলাকাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় সুমাইয়াকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। 

ঘিওর থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাত ৯টার দিকে সুমাইয়াকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী মোস্তাক আহমেদ ও প্রতিবেশী আলী হাসান খন্দকারের ছেলে বাপ্পি খন্দকারকে (১৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।