পবিপ্রবিতে অনুমোদনের আগেই দরপত্র, নির্মাণকাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় © সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি অবকাঠামো নির্মাণকাজের সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) অনুমোদনের আগেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন না পাওয়ায় প্রায় এক বছর পার হলেও এসব নির্মাণকাজের কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে দরপত্র বাতিল করেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৭০০ আসনবিশিষ্ট অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, দুটি ৫০০ কেভিএ জেনারেটরসহ দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, গ্রিন বাউন্ডারি ওয়াল ও বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে এসব প্রকল্পের প্রাক্কলন ২০১৮ সালের রেট সিডিউলে অনুমোদিত হলেও দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২২ সালের রেট সিডিউল অনুসারে। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পায় প্রায় ২২ শতাংশ।

আরডিপিপি অনুমোদনের আগে কীভাবে ব্যয় বাড়িয়ে দরপত্র আহ্বান করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ওবায়দুল ইসলাম দাবি করেছেন, এটি করা হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির নির্দেশে।

আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রশ্ন দেখুন এখানে

এদিকে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে তিনবার সংশোধিত প্রস্তাব জমা দেওয়া হলেও তা অনুমোদন দেয়নি আগের সরকার। অন্যদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকল্পের ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। ফলে নিয়মবহির্ভূত টেন্ডার প্রক্রিয়ার কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার মধ্যে পড়েছে।

বর্ধিত অর্থ বরাদ্দ অনুমোদনের আগেই দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘তৎকালীন সরকারের নির্দেশনায় প্রকল্প চালু রাখতে আরডিপিপি অনুমোদনের আগেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। তবে বর্তমান সরকার প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং প্ল্যানিং কমিশন নতুন কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সে অনুযায়ী সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব আবার জমা দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: ওয়েবমেট্রিক্স র‍্যাঙ্কিংয়ে ঢাবি-বুয়েটকে পেছনে ফেলে দেশসেরা রাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে প্রশাসন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

উন্নয়ন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট এই অনিশ্চয়তা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।