৬১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান
- ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৭
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬১টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা। একদিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া অন্যদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান। ফলে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, ৪৭টি সহকারী শিক্ষক পদও শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে ৭টি পদই খালি রয়েছে।উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৭ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, অফিস সহকারি ৩ জনের মধ্যে ১ জন এবং অফিস সহায়ক পদটিও শূন্য থাকায় কোনমতে চলছে কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস। সহকারি শিক্ষা অফিসারের সংকট থাকায় ৭টি ক্লাষ্টারের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারি শিক্ষকগণ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও চলতি দায়িত্বে থেকে দুই দায়িত্বই পালন করেছেন। এতে হিমশিমে পড়ছেন তারা। ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিকের পাঠদান, পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। জনবল সংকট দূর করে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবি জানান শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
উপজেলা কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুস সাকি বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে আমি প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বিদ্যালয় এবং অফিসের কাজ দুটোই একসাথে করতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় সহকারী শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় পড়াশোনা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। কিন্তু ইতোমধ্যে শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি জটিলতা থাকায় এতদিন ওই পদগুলো পূরণ করা যায়নি। এখন আর ওই আইনি জটিলতা নেই। শিগগিরই ওই শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি অবগত আছি। শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণ না করলে শিক্ষার গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’