বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদক, খোলা হচ্ছে এস কে সুরের গোপন লকার
- ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৭
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) গোপন লকারে কী আছে জানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দুদকের সাত সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, লকারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে দুদকের প্রতিনিধি দলের। কিছুক্ষণের মধ্যে খোলা হবে এসকে সুরের গোপন লকার। অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান। এছাড়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)। এরপর দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া চিঠিতে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর ও হস্তান্তর না করতে বলা হয়।
গত ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে বিধি অনুযায়ী ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী তাদের নিজ নামে প্যাকেট অথবা কৌটায় নিজ দায়িত্বে সিলগালাযুক্ত অবস্থায় জমার তারিখ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত রাখা হয়।
এরপর ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক আরেক চিঠিতে জানায়, এস কে সুর তিনটি লকার নম্বরে মূল্যবান সামগ্রী রেখেছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এসডি-৪৪/৬১ এবং ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এসডি-৪৮/১২ নম্বরের নমিনি করেছেন স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীকে। আর ২০১৭ সালের ১২ জুলাই এসডি-৪৭/৩৫ নম্বরে রাখা সামগ্রীর নমিনি করেছেন মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীকে।
সামগ্রীগুলোর ধরন সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, সেগুলো কাপড়ে মোড়ানো কৌটা বা প্যাকেট। তবে ওই তিনটি লকারে কী রেখেছেন এস কে সুর, তা বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, লকারে রাখা প্যাকেট ও কৌটা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা জানলেও, এর ভেতরে সামগ্রীর বিষয়ে জানে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ চিঠির পর দুদক সেটি খুলে দেখার জন্য অনুমতি চায়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, লকার খুলতে আদালতের অনুমতি লাগবে। পরে ২২ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন স্বাক্ষরিত আবেদন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরদিন লকার খোলার অনুমতি দেন আদালত।