আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আরাফাত রহমান কোকো
আরাফাত রহমান কোকো © সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। পরে ২৬ জানুয়ারি তার লাশ দেশে আনা হয় এবং বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি ও দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান এবং জাহিয়া রহমানকে রেখে গেছেন। বর্তমানে তারা লন্ডনে বসবাস করছেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও কোকোর পরিবারের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর নেতারা বনানীতে কোকোর কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন।

এছাড়া, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে আরেকটি মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির লন্ডন শাখার উদ্যোগে বৃক্ষল্যান্ড জামে মসজিদেও বাদ আসর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরাফাত রহমান কোকো এমন এক সময় মারা যান যখন তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। সরকার তার বাসার সামনে বালুর ট্রাক ও তালা ঝুলিয়ে রাখে। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে খালেদা জিয়া বারবার মূর্ছা যান এবং শোক কাটিয়ে ওঠা তার পক্ষে কঠিন হয়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যরা সান্ত্বনা দিলেও তিনি ছেলের শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিলেন। 

বাবা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি, মা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী এবং বড় ভাই তারেক রহমান বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেও আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতির আড়ালে ছিলেন। তিনি খেলাধুলা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে সময় ব্যয় করতেন। 

উল্লেখ্য, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।