বিল গেটসের দৃষ্টিতে সাফল্যের ১০ সূত্র

বিল গেটস
বিল গেটস © সংগৃহীত

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটস। তবে নিজেকে এখন তিনি মানবহৈতিষী হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন। আপনি যদি জীবনে সাফল্য চান, তাহলে তাকে উদাহরণ বিবেচনা করতে পারেন। বিভিন্ন সময় বিল গেটস সাফল্যের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। এ লেখায় রয়েছে ১০টি সূত্র।

প্রতিজ্ঞ হোন, প্রত্যয়ী হোন
সব সফল উদ্যোক্তাই জোর দিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। যে কাজটি করছেন, তার প্রতি ভালোবাসা থাকতেই হবে। সফল মানুষেরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই কঠিন কাজটাকে সহজে করেন। পাশাপাশি প্রতিজ্ঞ ও প্রত্যয়ী হতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, জীবনই সেরা স্কুল
যত বই-ই পড়েন না কেন, শিক্ষাজীবনে যত পরীক্ষাই দেন না কেন—এসব কখনোই পুরোপুরি আপনাকে সত্যিকার জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা শেখাবে না। নিজের জীবন থেকে শিখেই তৈরি হতে হবে।

যত দ্রুত সম্ভব, শুরু করুন
বিল গেটস সব সময় বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ বয়স কোনও বাধা নয়। যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায় নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্নপূরণের শুরুটা হলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা যতটুকুই থাকুক, অন্তত হাল ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।

প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে 
বিল গেটস বলছেন, ‘জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করা নেই যে দশ সপ্তাহ পর পর আপনি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে ব্রেক বলেও কিছু নেই।’ অতএব, প্রতিদিন আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে।

‘না’ বলা শিখুন
আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পাচ্ছেন না। এই ২৪ ঘণ্টা কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটাই সফল এবং অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল গেটস বলেছিলেন, ‘জীবনের সেরা উপদেশ আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে। সে বলেছিল, ‘তোমাকে না বলতে জানতে হবে।’ বিল গেটস মনে করেন, কখনও কখনও ‘না’ বলতে পারা আপনাকে লক্ষ্যে অবিচল থাকতে সাহায্য করবে।

আশা হারাবেন না
লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী হলে চলবে না। বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে। ২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিল গেটস বলেছিলেন, ‘আশাবাদ অনেক সময় মিথ্যে আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মিথ্যে হতাশা বলেও কিছু আছে।’

সমালোচনাকে স্বাগত জানান 
বিল গেটস তার ‘বিজনেস অ্যাট দ্য স্পিড অব থট’ বইয়ে সমালোচনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অভিযোগ আর অসন্তুষ্টি আপনাকে আরও ভালো করার সুযোগ করে দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার শেখার সবচেয়ে বড় উৎস।’

সাফল্যের হিসাব করুন
২০০৩ সালে বিল গেটস ‘দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল আইডিয়া ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামে একটা বই থেকে তার শিক্ষা কী, তা বলেছেন। ‘আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সব সময় হিসাব করেন, আপনি কতটুকু এগোলেন, তাহলেই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারবেন।’ সঙ্গে তিনি এ-ও যোগ করেছেন, ‘এটা বলা যত সহজ, করা ততটাই কঠিন।’

নিজেই নিজের বস হোন
আপনি নিজেই যদি নিজের স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তার স্বপ্ন পূরণে আপনাকে নিয়োগ করবে। তার চেয়ে বরং এই শ্রম নিজের স্বপ্নপূরণের পেছনে খরচ করুন।

জীবনটা সহজ নয়, এটা মেনে নিন
আপনি যতই কঠোর পরিশ্রম করেন না কেন, এমন একটা সময় নিশ্চয়ই আসবে, যখন সবকিছু আপনার মনমতো হবে না। সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আপনি পড়ে যাবেন, কিন্তু আপনাকে আবার দাঁড়াতে হবে।