যে কারণে গুচ্ছ থেকে বের হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় © ফাইল ছবি

নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। মঙ্গলবার রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৮তম জরুরি সভায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে না এবং আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রেগ্রামসমূহের ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গ্রহণ করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা চলছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এর আগেও গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ( ইউজেসি) চাপে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ টি এম রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। একাধিক মাইগ্রেশনের কারণে শুরুর দিকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম পরীক্ষাও শেষ হলেও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরাও অনেক ক্লাস করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আবার সেসনজটও বাড়ছে।’

তিনি জানান, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় যখন স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিত, তখন যেভাবে মেধাবী শিক্ষার্থী পাওয়া যেত; গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় চয়েজ সিস্টেম থাকায় আমরা সেভাবে কোয়ালিটিফুল শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। এছাড়া যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে গুচ্ছ কমিটির উপর নির্ভর করতে হয়। যার ফলে আমরা দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারি না। শুধু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় না আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসছে।’

এদিকে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ভাবে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন শিকদার বলেন, ‘গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে, আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ সারির শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে। আবার অনেকে এক জায়গায় ভর্তি হয়ে, আবার ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। দুই জায়গায় ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের অনেক টাকা যাচ্ছে। তাছাড়া গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনেক বেশি সময় লাগে। বিষয়টি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিবাচক।’