বিদ্যালয়ের ২০ হাজার ইট চুরি, হাতেনাতে ধরা পড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা

রাশেদুর রহমান রাশেদ
রাশেদুর রহমান রাশেদ © সংগৃহীত

নীলফামারীতে একটি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়ালের ইট চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুর রহমান রাশেদ । এ ঘটনা নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বাউন্ডারি ওয়ালের প্রায় ২০ হাজার ইট ট্রলিতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তা আটকে দেন। পরে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ১০ বছরের ছেলের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন রাশেদ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ইট চুরির ঘটনায় নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরোনো দেয়াল (বাউন্ডারি ওয়াল) ভেঙে ফেলা হয়। পরে সেই ইটগুলো বিদ্যালয়ের মাঠেই স্তূপ করে রাখা ছিল। রাশেদ সেখান থেকে ট্রলিতে উঠিয়ে গোপনে নিজের শ্বশুরবাড়িতে কয়েক হাজার ইট নিয়ে যান। এতে সহযোগিতা করেন ওই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।

এ বিষয়ে জানতে রাশেদুর রহমান রাশেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কমলেস চন্দ্র জানান, ‘বিদ্যালয়ের পুরোনো দেওয়ালের (বাউন্ডারি ওয়াল) ইট মাঠে রাখা ছিল। সেখান থেকে তারা নিয়ে গেছে। আমি পরে তাদের কাছে টাকা নিয়ে সরকারি তহবিলে জমা করতাম। এ বিষয়ে তেমন কিছু হয়নি। ইউএনও সাহেব বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সেখানে যাই। প্রধান শিক্ষককে ইট বিদ্যালয়ের মাঠে এনে রাখতে বলেছি। যদি ইট বিক্রি করতে হয়, তাহলে নিলামে বিক্রি করতে হবে। এভাবে কারও কাছে ইট দিতে পারেন না তারা। আর উনি আওয়ামী লীগ নেতা কিনা এটা আমার জানা নেই।’