নববর্ষ উপলক্ষ্যে ইবি ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা উৎসব 

প্রকাশনা উৎসব

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে ৫ দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব শুরু হয়েছে। ছাত্রশিবির সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূরীকরণ এবং বই পড়ে কীভাবে আদর্শ মানুষ হওয়া যায় এটাই এই উৎসবের উদ্দেশ্য। আগামী  ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে শিবিরের এই প্রকাশনা উৎসব।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় সকাল ১০টার দিকে এই প্রকাশনা উৎসব শুরু হয়। এদিন দুপুরে উৎসব স্থল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশনা উৎসবে মোট ৬টি স্টলে ২ শতাধিক প্রকাশনা স্থান পেয়েছে। যেখানে শিবিরের বিভিন্ন বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টিকার ও লিফলেট, জুলাই আন্দোলন বিষয়ক ম্যাগাজিন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে শিবিরের সমর্থক, কর্মী, সাথী, সদস্য ও উচ্চতর ক্যাটাগরির জন্য পৃথক কর্ণার।

উৎসবে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, শিবির সম্পর্কে সকলের মধ্যেই একটা নেতিবাচক ধারণা বিদ্যমান ছিল। ধীরে ধীরে এই ভুল কাটছে। আরেকটি ধারণা ছিল যে শিবিরের বইগুলো জঙ্গীবাদের শিক্ষা দেয়। তবে এই বইগুলোর দেখে আমি যতোটুকু পড়লাম এতে আমার তা মনে হয়নি। এছাড়াও এখানে জুলাই আন্দোলনকেও তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক এবং ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক বইও রয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খুব ই প্রয়োজনীয়। 

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান। ইতঃপূর্বে গণমাধ্যমগুলো আমাদের যেভাবে উপস্থাপন করেছে যে, আমাদের কাছে যদি কোরআন শরীফ ও পাওয়া যেতো তাহলেও বলা হতো এটা জঙ্গিবাদী বা জিহাদী বই। যে বইগুলোকে জঙ্গীবাদের দোহাই দিয়ে আমাদের উপর মামলা দেয়া হতো আমরা সে বইগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেছি। 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দেখবে তারাই সিদ্ধান্ত নিবে এসব জঙ্গিবাদী বই নাকি আদর্শ মানুষ গড়ার বই। এই সিদ্ধান্ত যদি শিক্ষার্থীরা নিতে পারে, এই বইগুলো পড়ে যদি কোরআন, সুন্নাহর চর্চা করতে পারে তাহলে সমৃদ্ধ ও সোনালি একটি বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। যে বাংলাদেশে কেউ দুর্নীতি করবে না, অন্যায় অপরাধের সাথে যুক্ত থাকবে না।