
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রক্তিমা’র পিঠা উৎসব
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪০

বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবারের শীতের মৌসুমে ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তিমা’।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পিঠাপুলি এবং অন্যান্য খাবারের পসরা নিয়ে হাজির হন রক্তিমার স্বেচ্ছাসেবীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে জমে ওঠে এই পিঠা উৎসব।
এসময় পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আকতার হোসেন, ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন এবং রক্তিমার নিজস্ব টি-শার্ট বিক্রয় করা হয়।
পিঠা উৎসবে রক্তিমার স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের নিজ হাতে তৈরি করা পিঠা নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। স্টলে সাজানো বাহারি রকমের পিঠা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ে আগত দর্শনার্থীদের। বটতলা প্রাঙ্গণকে ঘিরে স্থাপিত বেশ কয়েকটি স্টলে দেশীয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলোর মধ্যে ছিল ভাপা, চিতই, ঝাল পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, চিরুনি পিঠা, পাকান পিঠা, দুধ চিতই, নকশি পিঠাসহ আরও নানা মুখরোচক পিঠা। এছাড়াও পায়েস, পুডিং, পাস্তা, নুডুলস, ফিরনি, জর্দা, স্যান্ডউইচ, চিকেন মোমো সহ বিভিন্ন আইটেমের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মুনিরা বলেন, শীতের ছুটিতে বাড়ি যেয়ে পরিবারের সবাই মিলে পিঠা উৎসব করার সময় মনে হয়েছিলো এই আনন্দটা ক্যাম্পাসের সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেই। সেখান থেকেই মূলত গ্রামীণ সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ক্যাম্পাসের সবার সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে রক্তিমার পিঠা উৎসব। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে নিয়ে এসেছেন, যেগুলো আমরা সাধারণত গ্রামে গিয়ে খেয়ে থাকি।
উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালি এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ। এটা শুধু পিঠা খাওয়ার অনুষ্ঠান না, এটার মধ্যে যে সবাই এসেছে, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এটাও অন্যতম অর্জন। পাশাপাশি বিনামূল্যে যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেওয়া হচ্ছে এটিও প্রশংসার দাবিদার। এ সময় উপাচার্য বিভিন্ন স্টলের পিঠার স্বাদ আস্বাদন করেন এবং রক্তিমার টিশার্ট গ্রহণ করেন।