পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে উত্তেজনা, আক্রমণের অভিযোগ

ছাত্রদল
ছাত্রদল

পটুয়াখালীতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা সদস্য সচিব আবু বকর শিকদারকে জনসম্মুখে হেনস্থা ও বহিষ্কারের হুমকির অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী সদর রোডের ফুজি কালার ল্যাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। একইদিনে জেলা ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে নয়ন ও কৌশিক নামে দুইজন আহত হয়ে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

জানা গেছে, পটুয়াখালীতে আগামী নির্বাচনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুট্টি সরকার এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলতাফ হোসেন মনোয়ান প্রত্যাশী। তাদের নিজেদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবুবকর শিকদার।  

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালী সদর রোডে জনসম্মুখে আবুবকর শিকদারকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী।  

এ বিষয়ে আবুবকর শিকদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শামীম চৌধুরী আমাকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং বহিষ্কারের হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে অভিযোগ করেছি। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে দ্রুত এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধানের ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আবুবকর আমার ছোট ভাই, তার সঙ্গে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারার কোনো প্রশ্নই আসে না।

তিনি আরও বলেন, নয়ন কৌশিকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি জেরে সংঘর্ষ হয়, তবে এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আলতাফ গ্রুপের সঙ্গে আমাদের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

এই বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ বলেন, ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগ সঠিক নয়। এটি শুধুই একটি ভুল বোঝাবুঝি। আমরা সকলে মিলেই সুশৃঙ্খল রাজনীতি করার চেষ্টা করছি।