‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ স্লোগানধারীদের শাস্তি চায় ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান © লোগো

‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ স্লোগান দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন বলে মন্তব্য করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’। এ ধরনের স্লোগানধারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। 

বিবৃতিতে বলা হয়, নিজেকে রাজাকার, রাজাকার স্লোগান দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এ ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। কারণ এটি জাতির সংহতি এবং মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে।

তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের সমর্থনকারী কার্যকলাপ আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য সরকার এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উচিত এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

নেতারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, বেশ কিছুদিন ধরে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে ৭১’র পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা গোষ্ঠী মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে নানাভাবে অপমান করছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনিও উষ্মা প্রকাশ করেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গা থেকে রাতের আধারে পরিত্যক্ত ও প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় কতিপয় বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং রাজাকার রাজাকার স্লোগান আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তারা সময়ে-অসময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করছে। ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চেষ্টা করছে। এখানে আমরা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি-বেসরকারি সব চাকরিতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।