আইসিপিসি’র ৪৬তম আসর

প্রোগ্রামিং বিশ্বকাপে পশ্চিম এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন বুয়েট

পশ্চিম এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন বুয়েটের টিম পটেটোস

তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগামিং নিয়ে প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অলিম্পিয়াড ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে’র (আইসিপিসি)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ এ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ইন্টারনেটযুক্ত কম্পিউটারে টানা ৬ ঘণ্টাব্যাপী প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধান করতে হয় প্রতিযোগীদের। চূড়ান্ত আসর বা ফাইনালে পরীক্ষাটি পরিচালনা করে আইসিপিসির বিচারক পর্ষদ। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সমাধান করা দলকে ওয়ার্ল্ড ফাইনাল বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারকরা।

এবার আইসিপিসি’র ৪৬তম আসরের ওয়ার্ল্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিশরের লুক্সর শহরে দ্য আরব একাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে। ১৪-১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই আসরে অংশ নেয়া বিশ্বের ১২৪টি দলের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) টিম পটেটোস সামগ্রিকভাবে ২৮তম স্থান এবং পশ্চিম এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন- সাব্বির রহমান আবির (সিএসই-১৭), কাজী মো. ইরশাদ (সিএসই-১৭) ও এসকে সাবিত বিন মোসাদ্দেক (সিএসই-১৮)।

৪৬তম আসরে সামগ্রিকভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং একইসঙ্গে পূর্ব এশিয়াতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

আইসিপিসির প্রতিযোগিতাটি দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। ১ম পর্বে বিশ্বের ৮টি অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা চূড়ান্ত (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) পর্বে অংশ নেয়। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৮টি অঞ্চলের মধ্যে এশিয়া পশ্চিম অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে তুমুল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বুয়েট পেছনে ফেলেছে ভারতের অনেকগুলো আইআইটিকে।

এবার একই সময়ে ৪৭তম আসরও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এককভাবে সারা বিশ্বের ১৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম অংশ নেয়। আর সামগ্রিকভাবে বুয়েটের অবস্থান ৬৫তম।

৪৭তম আসরে সামগ্রিকভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অফ ইকোনমিক্স এবং একইসঙ্গে নর্দান ইউরেশিয়াতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।

২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এ ইভেন্টের আয়োজন করছিল। চীন, জাপান এবং থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এশিয়ার মাত্র চতুর্থ দেশ যারা এ ইভেন্টের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

আইসিপিসির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। যদিও ১৯৭৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল কম্পিউটারের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম বৃহৎ ও পুরোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম)।