ঈদযাত্রা

ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কী খবর?

সিরাজগঞ্জ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্র

ভোগান্তি এড়াতে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখী মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের চাপ বেড়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ মহাসড়কসহ  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা অংশে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় ঘুরে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা অংশে ১৩ কিলোমিটার যানজট থাকলেও কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে ঈদযাত্রার চাপ সেভাবে না পড়লেও গতকাল রাত থেকে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বলেন,  বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহাসড়কে গাড়ি কিছুটা বেড়েছে। তবে এটাকে চাপ বলা যাবে না। ইতিমধ্যে আমরা মহাসড়কে কাজ শুরু করেছি, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল চত্বর পর্যন্ত মহাসড়কের চারলেন খুলে দেওয়ায় এবার ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা নেই। আমরা যাত্রী ও গণপরিবহনের নিরাপত্তা ও নিশ্চিত চলাচলে সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম বলেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর এলাকা থেকে দাউদকান্দির শহীদনগর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানজট ছিল দুপুর ১টা পর্যন্ত। এখন কোনো যানজট নেই। অবাধেই যানবাহনগুলো যাচ্ছে ঢাকা-কুমিল্লা উভয় লেনে। 

অন্যদিকে শুরুতেই ভোগান্তিহীন ঈদ যাত্রায় বাড়ি ফিরতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করে যাত্রীরা বলছেন, ঈদের ছুটি শুরুর আগে সাপ্তাহিক ছুটি দিন ও রোববার শবে কদর থাকায় টানা তিন দিনের ছুটিতে নাড়ীর টানে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।