এক শিক্ষকসহ চবি থেকে একুশে পদক পাচ্ছেন ৩ জন

অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, মিনার ও রফিক আহামদ

২০২৪ সালের একুশে পদক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে এক শিক্ষকসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে এ বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন ৩ জন।

এ বছর ২১টি বিভাগে ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এরমধ্যে শিক্ষা বিভাগে তিনি এ সম্মাননা পাচ্ছেন।

চবি থেকে একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি এ সম্মাননা পাচ্ছেন। এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে এ পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক বার্ষিকী সম্পাদক মিনার মনসুর এবং সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র আলহাজ্ব রফিক আহামদ বিশেষ এ সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন।

এর মধ্যে একুশে পদকে মনোনীত হয়ে জিনবোধি ভিক্ষু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা মা আমাকে একটি কথা বলেছিল, ‘তুমি শুধু লেখাপড়া করবে না, পিছিয়ে পড়া জাতিকে শিক্ষায় সমুন্নত করার জন্য ভূমিকা রাখবে’। আমি মায়ের কথাকে প্রাধান্য দিয়ে জাতির জন্য কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও অতীশ দীপঙ্কর হল করে দিয়েছি। এছাড়া অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য কাজ করছি। একশে পদকে আমাকে মনোনীত করায় আমি আনন্দিত। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে এবং আমার কলেজ জীবনের শিক্ষক একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হককে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষকরা যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে তাঁরা এমন সম্মানে ভূষিত হবেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কারের পর রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পদক দিয়ে আসছে সরকার। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপ্তদের একুশে পদক দেবেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।