তপন বাগচীর পাশে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৮ জন ফেলো

তপন বাগচী
তপন বাগচী

বাংলা একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত তপন বাগচীর সম্পাদনাকর্ম নিয়ে মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১৮ গুণীজন। মঙ্গলবার সাহিত্যিক মনি হায়দার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন। বিবৃতিদাতা সবাই বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত সাম্মানিক ফেলো।

তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিজ্ঞানলেখক তপন চক্রবর্তী, ড. আবুল আহসান চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, আবিদ আনোয়ার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, কবি ফারুক মাহমুদ, বিমল গুহ, নাট্যকার ও অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান, সাহিত্যিক ফরিদ আহমদ দুলাল, রফিকুর রশীদ, ড. স্বরোচিষ সরকার, রহীম শাহ, অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, সুজন বড়ুয়া, রাশেদ রউফ, ড. আমিনুর রহমান সুলতান।

তপন বাগচী বাংলা একাডেমির ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালকের (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্বে আছেন। ৮০টির বেশি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। ফোকলোর ক্যাটাগরিতে এবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন গবেষক তপন বাগচী। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে বইমেলার উদবোধন অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেবেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, তপন বাগচী সম্পাদিত ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ গ্রন্থের সঙ্গে পূর্ববর্তী সম্পাদিত গ্রন্থের মিল নেই। প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র এবং গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের পুত্র শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং মমতাজের ভূমিকাও সাক্ষ্য দেয় যে এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এই গ্রন্থের স্বত্বও রয়েছে মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে।’ 

এতে আরও বলা হয়, ‘তপন বাগচী একটি গানও নিজের বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকার। এর সূত্র ধরে এ বছর ঘোষিত তার পুরস্কার বাতিলের দাবি অবান্তর ও অনভিপ্রেত। বাংলা একাডেমি কোনো নির্দিষ্ট গ্রন্থের ওপর পুরস্কার দেয় না। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয় কোনো লেখকের সামগ্রিক রচনাকর্মের ওপর ভিত্তি করে। ‘বাংলাদেশের যাত্রাগান: জনমাধ্যম ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত’, ‘লোকগানের খোঁজে’, ‘লালন মতুয়া লোকসংগীত অন্বেষণ’, ‘লোকসংস্কৃতির কতিপয় পাঠ’ গ্রন্থগুলোই তার ফোকলোরচর্চার প্রমাণ বহন করছে।’

সবশেষে বলা হয়, ‘তপন বাগচী একজন পরিশ্রমী ও গুণী গবেষক। তাকে ফোকলোর বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় আমরা বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’   

২০২০ সালে 'মরমী সাধক মাতাল কবি আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ান বাউল অঞ্জলী (প্রথম খণ্ড)’ প্রকাশ করে মরমি সাধক কবি আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ান ফাউন্ডেশন। বইটি সম্পাদনা করেন ইকবাল জাফর ও মহসীন দেওয়ান লিটন।