শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটাল এসআই কামরুজ্জামানের পাঠাগার

শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটাল এসআই কামরুজ্জামানের বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার
শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটাল এসআই কামরুজ্জামানের বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পাঠাগার প্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

কম্বল পেয়ে চৌরাকররা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এই ঠান্ডায় আমাদের কেউ একটা কাপড়ও দেয় নাই। ঠান্ডায় খুব কষ্ট করতাছি। আমরা গরিব মানুষ, ট্যাহা পয়সা নাই। কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি। আল্লায় আমারে ঠান্ডা থিকা বাঁচাইলো।’

দুই সন্তান নিয়ে শীতবস্ত্র নিতে এসেছেন জহুরা বেগম। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এই নারী। গরম কাপড় পেয়ে তার যেন আনন্দের শেষ নেই। খুশি হয়ে বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে শীতে খুব কষ্ট করছি। ঠান্ডার কোনো কাপড়চোপড় নাই। কোনো মতে এ্যাহন ঠান্ডা থেইকা বাঁচুম।’

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, সামাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সাধ্যমতো আর্তমানবতার সাহায্যে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবেই মানবিক পৃথিবী গড়ে উঠবে।

এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান। এ সময় পাঠাগারের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, রাকিব হাসান, লিখন আহমেদ, নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণু পাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।