দুই বেরোবি কর্মকর্তার ‘অবৈধ’ পদোন্নতির তদন্ত শুরু
- ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২২
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংক্রান্ত একটি পত্রে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে অভিজ্ঞতা ও নিয়োগপত্র জ্বাল করাসহ অসদুপায় অবলম্বন করে পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়রিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া অ্যাকাডেমিক শাখায় কর্মরত অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (পিএস টু ভিসি) মো. আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধেও স্বেচ্ছাচারিতা, অবৈধভাবে পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন হাতিয়ে নেওয়া, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ দুটির জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) কমিটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে আহ্বায়ক, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামান্না সিদ্দিকা এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে ইউজিসিকে দুদক পত্র দিয়েছে। ওই পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বেরোবির রেজিস্ট্রারকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বক্তব্য লিখিত আকারে দশ কার্যদিবসের মধ্যে ইউজিসিকে প্রদান করার জন্য চিঠি দিয়েছে দুদক।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় অবগত রয়েছে। একইসঙ্গে পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন ও ইউজিসির দেওয়া পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।