৭ দফা দাবিতে বাকৃবি অফিসার পরিষদের অবস্থান কর্মসূচি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স বৃদ্ধিসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও পূর্ণদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পরিষদ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন করিডোরে ওই কর্মসূচি পালন করেন অফিসার পরিষদের সদস্যরা।

দাবিগুলো হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১১তম সিন্ডিকেটের ২০নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা, প্রাপ্যতার তারিখ হতে পর্যায়োন্নয়নের কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পর্যায়োন্নয়ন কার্যকর, এডিশনাল রেজিস্ট্রার বা তার সমমান পদে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের উচ্চতর গ্রেডের স্কেল প্রদান, শাখা প্রধানদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, প্রজ্ঞাপন মোতাবেক চাকরিতে যোগদানের সময় টেকনিক্যাল ডিগ্রিধারীদের একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট প্রদান, বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ১২নং ধারার পূর্ণ বাস্তবায়ন।

অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা সংশ্লিষ্ট ধারানুযায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারো চাকরি অপরিহার্য মনে করলে কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরির বয়সসীমা ২+২+১ বছর করে ৬৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে গত ১৬ আগস্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৮ জন কর্মকর্তার চাকরির বয়সসীমা ৬ মাস বর্ধিত করা হয় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার পরিপন্থী। তাই অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ওই ৮ জন কর্মকর্তার বয়সসীমা ২ বছর বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি জানান, আমাদের ৭ টি দাবি রয়েছে। দাবিগুলো না মানলে আমরা আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, অবসরোত্তর চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সভায় কর্মকর্তাদের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা থাকায় সেটি সম্পূর্ণভাবে পাশ করেননি সিন্ডিকেট সদস্যরা।

তবে বিষয়টি নিয়ে অফিসার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আমরা বসবো। যৌক্তিক ও বৈধ দাবি মেনে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সমস্যা নেই বলেও জানান উপাচার্য।