ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবী সা.
- ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:১০
মুমিনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। ঘুমের আগে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা.) কোন দোয়াটি পাঠ করতেন মুসলমান হিসেবে তা আমাদের সবারই জানা দরকার।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, وَّ جَعَلۡنَا نَوۡمَکُمۡ سُبَاتًا ۙউচ্চারণ: ওআ-জাআলনা নাওমাকুম সুবাতা। অর্থ: ‘আমি তোমাদের রাতকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী’ (সুরা নাবা, আয়াত: ০৯)।
ঘুম মানুষের মস্তিষ্কজনিত সকল প্রকার চিন্তা-ভাবনাকে দূর করে মস্তিষ্ক ও অন্তরের সকল প্রকার স্বস্তি ও শান্তি দান করে।
হজরত হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন। অতঃপর বলতেন- اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَاউচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’
ফজিলত
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, হে অমুক, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে তখন নামাজের ন্যায় অজু করবে। তারপর তোমার ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমাবে এবং উক্ত দোয়া পড়বে। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি তুমি সেই রাতে মৃত্যুবরণ কর, তবে তুমি ইসলামের ওপর মৃত্যু বরণ করবে আর যদি তুমি ভোরে ওঠো, তবে তুমি কল্যাণের সঙ্গে ওঠবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন বলতেন-আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’
জীবনের সব ক্ষেত্রেই যদি করা যায় রাসুল (সা.)-এর রেখে যাওয়া সুন্নাতের অনুসরণ, সাহাবাদের অনুকরণ ও কুরআন-হাদীসের হুকুম-আহকামগুলোর (নিজের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে) সঠিক বাস্তবায়ন, তাহলেই সৃষ্টিকুলের মহান স্রষ্টা, বিচার দিনের মহান দ্রষ্টা আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের রহমতে অতিক্রম করা যেতে পারে জান্নাতের মহা তোরণ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবীর প্রত্যেকটি সুন্নত জীবনে বাস্তবায়নের তাওফীক দান করুন। আমীন।