হল নির্মাণে ৩০ লাখ চাঁদা দাবি করা প্রকৌশলীকে প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি
- ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪৯
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শেখ রেহানা হল নির্মাণ কাজ বন্ধের ব্যবস্থা করার জন্য ৩০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠে প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে হিসেবে পানি সরবরাহ, গ্যাস, পয়ঃপ্রণালী ও স্যানিটেশন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানকে সভাপতি এবং পূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) প্রকৌশলী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ডালিয়া খাতুন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শাখার পূর্তঃনির্মাণ ও সংরক্ষণ বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিল করিয়ে নেওয়া, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা, সিমেন্ট ব্যবহারে অপচয় করা, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাসহ নানা অভিযোগ করেন শেখ রেহানা হলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইট প্রকৌশলী মো. আনোয়ার বিন আরাফাত।
আরও পড়ুন: হলের নির্মাণ কাজ চালিয়ে নিতে ৩০ লাখ দাবি বাকৃবি প্রকৌশলীর
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ৪-৫টি মিটিং করেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আমরা প্রতিবেদন আকারে তদন্তের সুপারিশ করবো।
কমিটির সভাপতি মো মনিরুজ্জামান বলেন, ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আল মামুনকে সাইট প্রকৌশলী থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আরাফাত সাইট প্রকৌশলী আল মামুনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে এসেছে তাতে ৩০ লাখ টাকা চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই। তবে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ের তদন্ত করা হবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অভিযুক্তকে সাইট থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইঞ্জিনিয়ার ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার সরিয়ে নতুন ইঞ্জিনিয়ার, সাইট ইঞ্জিনিয়ার দেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে তদন্তের কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করছি।