শাবিপ্রবির উপাচার্যের অপসারণ চায় ছাত্র ইউনিয়ন 

অপসারণ
ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিভিন্ন বক্তব্যকে নারী বিদ্বেষমূলক উল্লেখ্য করে তাঁর অপসারণের দাবি করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। এসময় তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ চেয়ারগুলো এই অযোগ্য ব্যক্তিদের দখলে। এদের আচরণ মোটেই ভিসি সুলভ নয়।

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আচরণ মোটেই ভিসি সুলভ নয়। বর্তমানে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারগুলোতে বসে আছেন তাদের বেশিরভাগই দুর্নীতিগ্রস্থ। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে কোনো সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্য না। কিন্তু বর্তমান ভিসিরা এই কাজটাই করেন। গতবছর বাকি ৩৪ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার পক্ষে দাঁড়ায়। এর থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কী অবস্থা। বুজতে হবে এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আর ঠিক ঠাক নাই। এখানে যারা আছে তারা মূলত তেলবাজ। তেলবাজি ছাড়া এসব পদ এখন পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে গুণগত মান নিয়ে কখনও আপোষ করিনি: শাবিপ্রবি ভিসি

এসময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যদি কোনো শক্তি থাকে সেটাও আওয়ামী লীগ সরকার। 

ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, শাবিপ্রবির ভিসির আচরণ সম্পুর্ন নারী বিদ্বেষমূলক এবং তালেবানি। এর আগে তিনি তার বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদেরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। ভিসি ফরিদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো স্টেটমেন্ট এখনো আমরা পাইনি। সরকারি লোক বলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ এক রিকশাওয়ালাও যদি খাবার পায় না বলে একটা স্টাটাস দেয় পুলিশ তাদের ঘরের বাইরে এসে দাঁড়িয়ে থাকে।

ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মাহিন আহম্মেদ বলেন, যে রাষ্ট্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নারী বিদ্বেষমূলক কথা বলে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীদেরকে নিয়ে খারাপ উক্তি করতে পারে সেই রাষ্ট্র আমরা চাই না। একদিকে তালেবানি সংস্কৃতির প্রচার করবেন এই ভিসিরা আর আরেকদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে সংকটের সৃষ্টি করে।

যখন ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় তখন সরকার ভিসিকে টিকিয়ে রাখে আবার সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে ভিসি সরকারের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। এসময় তিনি সাস্টের ভিসিকে অপসারণের দাবি জানান।

আর পড়ুন: শাবিপ্রবিতে খেলাধুলায় স্লেজিংয়ের নামে চলে অশালীন গালিগালাজ

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, একটা সময় সন্ধ্যা আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই করে নারীদের অধিকার করা হয়েছে। আজকে সে তার বিরুদ্ধে তালেবানি সংস্কৃতি করে গর্ব অনুভব করছে। সে এর আগে ছাত্রদের উপর বোমা মেরেছে। 

তিনি আরও বলেন, নারীর যে নিরাপত্তার স্বার্থেই ওদের হল সারারাত খোলা রাখতে হবে। কোন কারণে ১০ টা বেজে গেলে আপনি হলে ঢুকতে পারবেন না। তাহলে নিরাপত্তার স্বার্থেই আপনি হল খোলা রাখতে হবে। নাহয় ওকে অন্য জায়গা খুঁজতে হবে। এটা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত হতে হবে। চাকরি, টিউশনি সহ জরুরী কাজে অনেককে বাইরে থাকতে হতে পারে।