দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

বর্তমান সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামীতেও যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সংসদে একাধিক প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ে পৃথক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাজারে সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে আমদানি বাধাসমূহ দূর করা, শুল্ক হার হ্রাস, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, বন্দরে দ্রুত খালাস নিশ্চিত করা, এলসি অনুযায়ী পণ্য আমদানি তদারকি করাসহ সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিনি ও ভোজ্যতেলের ওপর আরোপ করা শুল্ক হার অধিকতর যৌক্তিক করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পরিবহনে রাস্তাঘাটে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য জননিরাপত্তা বিভাগকে জানানো হয়েছে। পোল্ট্রি বাজারে অনিয়ম বা মনোপলি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময়ে সময়ে ভোজ্যতেল ও চিনির স্থানীয় বাজার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয় করা হয়।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদন্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি নির্ভর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব গরম মসলাসহ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের উপর পরিলক্ষিত হচ্ছে।