জাফলংয়ে গোসলে নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ, দুদিন পর মরদেহ উদ্ধার

রেসিডেন্সিয়াল কলেজ
আল ওয়াজ আরশ

জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে বাবার সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আল ওয়াজ আরশের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকালে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্টে মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত আরশ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামে জাহিদুল হোসেনের ছেলে। তার বাবা পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত রয়েছেন।

জানা যায়, গত ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাবার সঙ্গে পিয়াইন নদীতে গোসলে নামেন আরশ। এ সময় নদীর প্রখর স্রোত বাবা-ছেলেকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা বাবা জাহিদুল হোসেনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ছেলে আরশকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: এবার বাসেই ১৫ মিনিটে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট

এদিকে নিখোঁজের পর থেকে উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, গোয়াইনঘাট থানা–পুলিশ, জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য ও স্থানীয়রা দফায় দফায় পিয়াইন নদীতে অভিযান চালায়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে, শনিবার সকালে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় আল ওয়াজ আরশের মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরশ ও তার বাবা, মা ও ছোট ভাই মিলে গত ৬ জুলাই দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন। সাঁতার না জানায় এক পর্যায় বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা বাবাকে উদ্ধার করতে পারলেও আরশকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।