এমপিওভুক্তির দাবি

সোমবার থেকে আমরণ অনশনে

আন্দোলনরত শিক্ষকরা
আন্দোলনরত শিক্ষকরা

দেশের নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করার দাবিতে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। আগামীকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হবে। রবিবার এ ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন’।

গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষকরা। পরে ২১ জুন তারা জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার এবং তাদের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের সকল সদস্যকে স্মারকলিপি দেন। গত শুক্রবার স্মারকলিপি দেন রাষ্ট্রপতিকে।

এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। টানা ৫ দিন এ কর্মসূচি পালন করে ৩১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনে যান তারা। এক পর্যায় ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

কিন্তু চলতি মাসের ৭ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবে এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুষ্পষ্ট ঘোষণা দেননি। ফলে ১০ জুন থেকে ফের আন্দোলনে নামেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী।

এসব বিষয়ে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, আজ রবিবারে মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এমপিওভুক্তির স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন শিক্ষকরা।

বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।