ঢাবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদের মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দ্যা সূর্যসেন হলের চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা নির্যাতন পরবর্তী হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কর্তৃক এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগ নানারকম মিথ্যা ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনকে একপ্রকার বৈধ করে নিয়েছে। তাদের এই নীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা দিচ্ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল সূর্যসেন হলে কতিপয় ছাত্রলীগ নেতা চার জন শিক্ষার্থীকে উন্নয়নের বিরোধী ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করে। 

এসময় ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, নানা ছুতোয় হলের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে ছাত্রলীগ। সালাম দেয়া হয়নি কেন?- নির্যাতন। প্রোগ্রামে যায়নি- নির্যাতন। গেস্টরুমে আসেনি কেন?-নির্যাতন। আর এবার সূর্যসেন হলের ছাত্রদের মারা হলো উন্নয়ন বিরোধী বলে। তিনদিন পার হলেও এখনও নির্যাতকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

এসময় তিনি ৩টি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হল-

১. ছাত্র নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিষ্কার করতে হবে।
২. দেশীয় আইনে তাদের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নির্যাতকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করায় হল প্রভোস্টকে অব্যাহতি দিতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, "ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে রুপান্তরিত করেছে। সূর্যসেন হলে চারজন ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। আমরা অবিলম্বে নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র নির্যাতন যেন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সূর্যসেন হলে চার শিক্ষার্থীকে বুকে লাথি মেরে ফেলে দেয়া, স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের মত নির্মম নির্যাতন করে হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান, হামিদ কারাজাই এবং মোহাইমিনুল ইসলাম ইমন। এই নির্যাতনকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।