পাকার আগেই লিচু খেয়ে ফেলছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা, নিচ্ছেন বাসায়ও

পাকার আগেই লিচু খেয়ে ফেলছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা, নিচ্ছেন বাসায়ও
পাকার আগেই লিচু খেয়ে ফেলছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা, নিচ্ছেন বাসায়ও

প্রতিবারের মতো এবারও থোকায় থোকায় লিচুতে ভরে উঠেছে লিচুর ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। এবছর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রায় শতাধিক লিচুর গাছ রয়েছে। তবে অপরিপক্ব লিচু পেড়ে খাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এবার লিচুর বাগানে প্রচুর পরিমাণে লিচুর ফলন হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক লিচু লালচে রঙ ধারণ করেছে। আর এটা দেখেই অনেক শিক্ষার্থী গাছে উঠে লিচু পাড়া শুরু করেছেন। আবার তাদের দেখাদেখি অন্য শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দিয়ে বর্তমানে সারা দিন রাত অবিরত এসব অপরিপক্ব লিচু পেড়ে খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেক শিক্ষার্থী বস্তা ভর্তি করে লিচু নিয়ে যাচ্ছেন বাসায়।

 বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক জানান, ক্যাম্পাসের লিচুগুলো এখনো পরিপক্ব হয়নি, খাওয়ারও উপযোগী নয়। লিচুগুলো পাকতে এখনো ১০ থেকে ১২ দিনের মতো সময় লাগবে। সঠিক সময়ে লিচুর আহরণ করা হলে আমরা এই সুমিষ্ট ফলগুলো উপভোগ করতে পারব। এই কাঁচা অপরিপক্ব লিচু খেলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কাঁচা বা আধা-পাকা লিচুতে থাকা টক্সিন হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন নামক টক্সিন উপাদান বিষক্রিয়া ঘটিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের উচিত কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি এবিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে কোনো শিক্ষার্থী লিচু খাওয়ার উদ্দীপনায় অসুস্থ হয়ে পড়ুক।