জন্মদিনেই গলায় ফাঁস দিলেন কলেজছাত্রী

কলেজছাত্রী কোয়েল হালদার

দুপুর থেকে হইহুল্লোড় করে শপিং করা। হরেকরকম বেলুন, লাইট দিয়ে ঘরও সাজিয়েছিলেন তরুণী। শপিং করে ফিরে বাড়ির পরিচারিকাকে কেক সাজাতে বলে নিজের ঘরে ঢুকে যান। তারপর আর সাড়া মেলেনি। পরে সেই ঘর থেকেই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গতকাল শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত তরুণীর নাম কোয়েল হালদার (২০)। তিনি কল্যাণী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল কোয়েলের জন্মদিন ছিল। তার আয়োজনও হচ্ছিল সকাল থেকে। নিজের হাতে কেক, বেলুন, লাইট কিনে এনে বাড়িও সাজিয়েছেন তরুণী। এরপর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যান শপিং করতে। ফিরে আসেন রাত ১০টা নাগাদ। ফিরেই পরিচারিকাকে কেক সাজাতে বলে নিজের ঘরে ঢুকে যান তরুণী।

পরে অনেকক্ষণ ধরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। ডাকাডাকির পরেও সাড়াশব্দ না মেলেনি। বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

তরুণীর মা মামনি হালদার বলেন, কেক সাজাতে বলে ঘরে ঢুকেছিল। এরকম করবে ভাবতে পারিনি। জামাকাপড় কেনা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল! তার পরিণতি এমন হতে পারে, বিশ্বাসই হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কে কন্নন বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা