ভুয়া সার্টিফিকেট

দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালকসহ দুজন রিমান্ডে

পড়ালেখা না করেও ভাল চাকরির লোভে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপু ও প্রকৌশলী (ডিপ্লোমা) ইয়াসিন আলীর দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ন কবির। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর রামপুরা ও লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন: টাকা দিলেই মিলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট

দ্য কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ টেকনিক্যাল অ্যাডুকেশন বোর্ড, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়, স্টাম্পফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সিলমোহর ও স্বাক্ষর তৈরি করেন। এর মাধ্যমে তারা টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।

এসব জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিটগুলো বোর্ড অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূল কাগজ দিয়েই তৈরি করা হতো। এছাড়াও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেগুলোকে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। এর ফলে পরবর্তীতে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সেগুলোর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে লালবাগ থানার বড়ভাট মসজিদ এলাকার কাশ্মিরি গলির একটি বাসায় শুক্রবার সকালে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের বেশ কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা অনলাইন ভেরিফিকেশন করে সার্টিফিকেট বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। লাখ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এসব প্রতারকের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।