পৌষ্য কোটা বাড়িয়ে আসন কমিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

গুচ্ছভুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে কমেছে আসন, বেড়েছে পৌষ্য কোটা। সর্বশেষ ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৬টি অনুষদের ১৯টি বিভাগে আসন সংখ্যা বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৩০টি। যা গত শিক্ষাবর্ষ থেকে ১০টি কম। সর্বশেষ শিক্ষাবর্ষের ৫৯টি কোটার আসন থেকে বর্তমানে ৩২টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১টিতে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ৭৫তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০৪০টি আসনের পরিবর্তে বর্তমানে ১০৩০টি আসনে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জন্য বরাদ্দ ৫০টি আসনের জায়গায় ৪০টি আসনে কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া কোটার আসন ৫৯ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯১টি। কোটার আসন সমূহের মধ্যে পৌষ্য কোটা ৩৮টি, মুক্তিযোদ্ধা ২৭টি, উপজাতি ১২টি, অ-উপজাতি ৪টি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ৬টি এবং খেলোয়াড় কোটা ৪টি।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়্যারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন জানান, প্রত্নতত্ত্ব একটি বিশেষায়িত সাবজেক্ট হওয়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের ফিল্ডওয়ার্কসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে হয়। এক্ষেত্রে একটা বড় টিম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফিল্ডওয়ার্কে যাওয়াটা কিছুটা কঠিন। এছাড়া আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালাতেও বেশ অসুবিধা হচ্ছে। সেজন্য আমরা বিভাগের একাডেমিক মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের কাছে আসন কমানোর আবেদন জানাই। প্রশাসন সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫০টি থেকে কমিয়ে ৪০টি আসনে নিয়ে আসে।  

পৌষ্য কোটায় সিট বৃদ্ধির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে শিক্ষকদের পৌষ্য কোটায় আসন বাড়ানোর দাবির প্রেক্ষিতে কাউন্সিল সদস্যদের সমন্বিত সিদ্ধান্তের আলোকেই আসন বৃদ্ধি করা হয়। যদিও আমাদের অধিকাংশ কোটার আসনই পূরণ করা সম্ভব হয় না। 

তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষেই আসন খালি থাকে। শেষের দিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। সেজন্য বিভাগের শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিল ১০টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।