রাবি অধ্যাপককে হত্যা: প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন দুই আসামি

অধ্যাপক এস তাহের
রাবি শিক্ষক অধ্যাপক এস তাহের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলার দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন। বুধবার (৩ মার্চ) আসামিদের রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশের পর এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বাক্ষর করার পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ২১ পাতার এ রায়ের ফলে শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরে কোনও বাধা নেই।

আসামি শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন। নামঞ্জুর হলে কারা কর্তৃপক্ষ ২৭ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন তিনি। পরে  অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার জনকে ফাঁসি ও দুজনকে খালাস দেন। দণ্ডিতরা হলেন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সমন্ধি আব্দুস সালাম।

রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে ২০০৮ সালে। আসামিরাও আপিল করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল শুনানি শেষে দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল ও অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।