কারাগারে কাটবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী খাদিজার ঈদ

খাদিজাতুল কুবরা
খাদিজাতুল কুবরা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ৮ মাস ধরে কারাবন্দী রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা। আজ শনিবার সারাদেশে সবার পবিত্র ঈদুল ফিতর স্বাভাবিকভাবে উদযাপিত হলেও এ ঈদটাও কারাগারে কাটবে জবির খাদিজার।

এর আগে অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে পুলিশ।

একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার এসআই আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মুঠোফোনে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

মেয়েকে কারাগারে রেখে ঈদ কল্পনাই করতে পারছেন না খাদিজার ফাতেমা খাতুন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যেদিন থেকে আমার মেয়ে কারাগারে, সেদিন থেকে আমাদের অশান্তি শুরু। এখন মেয়েকে কারাগারে রেখে আমরা কীভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করব? কখনো ভাবিনি, এভাবে মেয়ের দিন কাটবে কারাগারে।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে পড়াশোনায় সব সময় ভালো। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু আমার মেয়ের সব স্বপ্ন নষ্ট হতে চলেছে। সে চেয়েছিল ভালো ফলাফল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে। কিন্তু আট মাস ধরে মেয়ে আমার জেল খেটে চলেছে। আর কত দিন তাকে জেল খাটতে হবে, জানি না।

নিউমার্কেট থানার মামলায় এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ২৫ মিনিটের সময় মুঠোফোনে মেজর (অব.) দেলোয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দেখতে পান। ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামের ভিডিওর সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।