আলপনায় বর্ণিল এআইইউবি ক্যাম্পাস
- ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৫১
বাংলা মাসের শুরুর দিন পহেলা বৈশাখ। মানে বছরের প্রথম দিন। নতুন এই বছরটিকে স্বাগতম জানাতে রঙের ছোঁয়ায় সাজানো হয় আশপাশ। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আয়োজনে তপ্ত এই বৈশাখ বরণে বর্ণিল উৎসব পালন করা হয় নানাভাবে। সেই ধারাবহিকতায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ কে বরণ করে নিতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের সড়কে বর্ণিল আলপনা আঁকা হয়েছে। এআইইউবির আর্টস ক্লাবের সদস্যরা এসব আল্পনা আঁকেন।
এসময় বিশ্বিবদ্যালয়ের অন্যান্য ক্লাব ও অনুষদের শিক্ষার্থীরাও এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, পহেলা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির উদযাপন এবং বর্ষবরণের অংশ হিসেবে এআইইউবি আর্টস ক্লাব প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও রাস্তা আল্পনা, বাঙালি সংস্কৃতির বিষয়বস্তু এঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন সাজায়। এবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগীতায় আনন্দঘন পরিবেশে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনের প্রদীপ লেকের চারপাশের রাস্তায় নানারকম আল্পনা এঁকে মাধ্যমে বর্ষবরণ করা হয়।
এআইইউবির আর্টস ক্লাবের সদস্যরা এসব আল্পনা আঁকেন। ছবি: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস
প্রতীক দত্ত নামের এআইইউবির এক শিক্ষার্থী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রধান উৎসব এবং বাঙালির জীবনে সবচেয়ে আনন্দময় দিন। নববর্ষ বাঙালির জীবনে আসে উৎসব নিয়ে। উৎসবের এই দিনটিতে নানা আয়োজন থাকে । তবে আলপনার বিষয়টি সবচেয়ে সুন্দর। ঢাকার রাজপথ যেমন আলপনায় রঙিন হয় ঠিক তেমনি রঙিন হয়ে ওঠেছে আমাদের ক্যাম্পাসও। খুব সুন্দর লাগছে।
এআইইউবি আর্টস ক্লাবের সভাপতি ফারদিন ফেরদৌস বলেন, বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পহেলা বৈশাখ। নববর্ষকে বরণ করার এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন রঙতুলির আঁচড়ে সাজাতে পেরে শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা খুব আনন্দিত। শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য সদস্যদের উৎফুল্ল অংশগ্রহণ আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করেছে। সকল সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টরসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই।