ভুল সুপারিশ: আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেনি এনটিআরসিএ

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল পদে সুপারিশ প্রাপ্ত কিংবা মেধাতালিকা এগিয়ে থেকেও সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের শুরু হয়নি। কবে নাগাদ প্রার্থীদের আবেদন যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে সেটিও বলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রোববার (০২ এপ্রিল) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে প্রার্থীরা নানা অভিযোগ নিয়ে আসছেন। সবগুলো অভিযোগ একত্রিত করে এনটিআরসিএ’র শিক্ষাতত্ব ও শিক্ষামান শাখার একজন সহকারী পরিচালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তবে আবেদনগুলো এখনই যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করতে চায় না এনটিআরসিএ। একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর যাদের অভিযোগ সঠিক, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ’র উপপরিচালক (শিক্ষাতত্ব ও শিক্ষামান) শাহীন আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে। অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন। 

আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশের ফল প্রকাশের পর থেকেই নিবন্ধনধারীরা নানা অভিযোগ জানিয়ে ফল বাতিলের দাবি করেছেন।