‘সুন্দর চেহারা বানাতে কীভাবে ফাঁসলেন হিরো আলম’—আনন্দবাজারের প্রতিবেদন

হিরো আলম
হিরো আলম

জনপ্রিয় ভারতীয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার সম্প্রতি হিরো আলমকে নিয়ে বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের মন্তব্যের জেরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘হিরো আলমের উত্থান কুরুচি, অশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান’—বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের এমন বক্তব্যে হিরো আলমের অনুসারীদের খেপে যাওয়ার কথা। তাঁরা চাইছেন, হিরো আলম পাল্টা কিছু বলুক, প্রতিবাদ করুক। মানহানির মামলা করার পরামর্শের বিষয়টি তুলে আনা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। 

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেহারা ও স্বাস্থ্য নিয়ে হিরো আলমকে নানা ধরনের বিদ্রূপ-কটূক্তির মুখোমুখি হতে হয়। তবে এ সব নিয়ে বিচলিত হন না বাংলাদেশি অভিনেতা এবং গায়ক হিরো আলম। এ বিষয়ে একেবারে উদাসীনও নন তিনি। সমাজে নিজেকে চলনসই করে তুলতে যেমন শরীরের যত্ন নেন, বাড়াতে চান চেহারার সৌন্দর্যও। কিন্তু একসঙ্গে দু’টো কাজের পরিকল্পনা করতে গেলেই গোলমাল হয়ে যায় বলে জানালেন হিরো আলম। মামুনুরের ঘৃণাবর্ষণের পিছনেও মূল কারণ তাঁর ‘অপ্রীতিকর’ চেহারা, এমনই মনে করছেন হিরো।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এক সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে হিরো আলমের ভাষ্যে তারা বলছে, সব সময় আমায় দুটো জিনিস শুনতে হয়। এক, আমার চেহারা ভাল না। দুই, আমি দেখতে ভাল না, বা আমার শারীরিক গঠন ভাল না। তাই এই দুটোরই যত্ন আমি নেওয়ার চেষ্টা করি।

তবে, চাইলেই কি আর পারা যায়! হিরো আলমের দাবি, সমালোচনার মুখোমুখি হতেই হয় তাঁকে। অকপটে জানান, নানা লোকের কথা শুনতে গিয়ে গোলমাল হয়ে যায়। চেহারা ভাল করার দিকে মন দিলে অন্য বিষয় নিয়ে সমালোচনা আসে, ঝামেলায় পড়ে যান তিনি। কী করে আর চেহারা ভাল হবে তাঁর?

মামুনুরের মন্তব্য কানে এসেছে হিরো আলমের। প্রতিবাদ করার বদলে তিনি বললেন, ‘তিনি আমার বাবার মতো, তাঁর বিরুদ্ধে আমি কখনোই মামলা করব না।’

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে হিরো আলমের সমালোচনা করেন অভিনেতা মামুনুর। বলেন, আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। সেখান থেকেই হিরো আলমের মতো এক জন মানুষের উত্থান হয়েছে। হিরো আলমদের উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কী ভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনই আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও বটে।

প্রবীণ অভিনেতার এমন মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। সমাজমাধ্যমে এক দল মামুনুরকে সমর্থন করছেন। আবার এক অংশের বক্তব্য, মামুনুর এভাবে বলতে পারেন না। হিরো আলমকে অকারণে ছোট করা তাঁর অন্যায় বলেই মনে করছেন হিরো আলমের অনুসারীরা।