ফাঁসির আসামিদের সাথে থাকছেন জবি ছাত্রী খাদিজা!

কনডেম সেল
খাদিজাতুল কুবরা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরাকে কনডেম সেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই সেলে কেবলমাত্র ফাঁসির আসামিদের থাকা কথা।

২০২০ সালে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গত বছর গ্রেপ্তার করা হয় খাদিজাকে। এর পর থেকে কারাগারেই রয়েছেন তিনি। খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে একটি ওয়েবিনারের উপস্থাপক ছিলেন খাদিজা। ওই ওয়েবিনারে অতিথি বক্তা ছিলেন বিদেশে অবস্থানরত মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেন। ওই ওয়েবিনারের পর খাদিজা ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। এ দুই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর আদালত খাদিজার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের আগস্টে তাঁকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রয়েছেন। তবে সম্প্রতি তাকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য নির্দিষ্ট কনডেম সেলে তাঁকে রাখা হয়েছে।

জবি ছাত্রীকে কনডেম সেলে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, খাদিজা কারা হাসপাতালের যন্ত্রপাতি এবং চিকিৎসকনে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। একজন চিকিৎসকের সাথে তিনি খুবই বাজে ব্যবহার করেছেন। সেজন্য তাকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে থাকাকালীন কেউ অসদচারণ করলে তাকে শাস্তি হিসেবে শাস্তিমূলক সেলে রাখা হয়। খাদিজাকেও তার খারপ আচরণের জন্য এই সেলে রাখা হয়েছে। তবে এটি কনডেম সেল নয়। গত ২২ মার্চ থেকে তিনি শাস্তিমূলক সেলে রয়েছেন। আগামী ২৭ মার্চ তার শাস্তি শেষ হবে। এরপর আবার তাকে সাধারণ সেলে পাঠানো হবে।