সেহেরি-ইফতার নিয়ে বিপাকে জাবি শিক্ষার্থীরা

জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

রমজান ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বন্ধ ঘোষণা করলেও পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের অনেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। কিন্তু হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় এবং ক্যান্টিনগুলোতে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় সেহেরি ও ইফতার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে খাবারের উচ্চমূল্য ও নতুন হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন চালু না হওয়াতে দূর্ভোগ আরও বেড়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস বন্ধ হলেও অনেক বিভাগে পরীক্ষা ও ল্যাব চলমান। ফলে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের। এছাড়া টিউশনি রয়েছে অনেকের। এজন্য এখনই ছুটিতে বাড়িতে যেতে পারছেন না অধিকাংশরা। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে এবার ছুটির মধ্যেও সবগুলো আবাসিক হল খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য নির্ধারিত হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির ফয়সাল বলেন, গতকাল সেহেরি খেতে খাবার দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রচুর চাপ থাকায় আমি তিন জায়গায় ঘুরে ঘুরে সেহেরি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ থাকলেও পরীক্ষার্থী, টিউশন ও চাকুরিপ্রত্যাশীদের একটি বড় অংশকে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসে থাকতে হচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই রোজা রাখেন। কিন্ত হলের ডাইনিং-ক্যান্টিনগুলোতে সেহেরি ও ইফতারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। 

তিনি বলেন, আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতির সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাদের আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্তু আমরা তার কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাহরি এবং ইফতারের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলে শিক্ষার্থীরা এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি ও  নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, সাধারণত ক্লাস বন্ধের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং বন্ধ থাকে। আর এটা তো দীর্ঘ ছুটি এজন্য ডাইনিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রমজানে যেসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে তাদের কথা বিবেচনায় হলের ক্যান্টিন খোলা রাখা হয়েছে। এছাাড়া যেসব হলে ক্যান্টিন নেই সেসব হলে কেউ মেস চালু করতে চাইলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চেয়েছি।