শূন্য পদ পূরণে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেছেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি দেওয়া হলে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিল এনটিআরসিএ। গত সোমবার এই নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সুপারিশ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪৩৮। ৩৫ হাজার ৯৫২টি পদ ফাঁকাই থেকে গেছে। এই পদগুলো পূরণে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে অর্ধেকেরও বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে। ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে অনেকেই বাদ পড়বেন। এই অবস্থায় আরও শিক্ষক সংকট তৈরি হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পদগুলো পূরণ করতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় সংস্থাটি। 

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, যে পদগুলো শূন্য রয়েছে সেগুলো পূরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রার্থীদের কাছে আবেদন চাওয়া হবে।

এদিকে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকলেও অনেক নিবন্ধনধারী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী (আগে থেকেই এমপিওভুক্ত) শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই প্রার্থীরা যেন আবেদন করতে না পারেন সেজন্য তাদের নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করেছিল এনটিআরসিএ। ইনডেক্সধারীদের রোলগুলো টেলিটকের মাধ্যমে ব্লক করে রাখে এনটিআরসিএ। তবে বিভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর একই হওয়ায় সবগুলো রোলই ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে আবেদন করলেও নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাননি অনেকে।

তাদের দাবি ১-১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিবন্ধনধারীরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে চাকরি করছেন। তাদের অধিকাংশই ইনডেক্স পেয়েছেন। যে সকল নিবন্ধন সনদের রোলে ইনডেক্স রয়েছে, সেগুলো ব্লক করে রাখায় ফ্রেশার হিসেবে চাকরির আবেদন করলেও রোল নম্বর একই হওয়ায় ভালো নম্বর এবং মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও চাকরির সুপারিশ পাননি তারা। 

প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করেছে টেলিটক। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেটিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। এখানে ভুল হলে সেই দায়ভার আমাদের না। এটা টেকনিক্যাল ভুল হতে পারে।

এনামুল কাদের খান আরও বলেন, যারা জাতীয় মেধাতালিকার পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও নিয়োগের সুপারিশ পাননি; তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে তার অভিযোগ সঠিক হলে আমরা সেটি সংশোধন করে দেব।