মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশ পাননি, আত্মহত্যার হুমকি

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও চাকরির সুপারিশ পাননি চাপাইনবাগঞ্জের  মো. ফজলে এলাহি। তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন অনেকে। চাকরির সুপারিশ না পাওয়ায় দিশেহারা ফজলে এলাহি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, যে ৪০টি প্রতিষ্ঠান আমি পছন্দক্রমে দিয়েছিলাম। তার একটিতেও সুপারিশ পাইনি। অথচ মেধাতালিকায় পিছিয়ে থেকে, আমার চেয়ে কম নম্বরধারীরা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন। চাকরি না হওয়ায় আমি আমার পরিবার নিয়ে কোথায় যাব সেটি ভেবে পাচ্ছি না। এই অবস্থায় আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো পথ খোলা নেই।

জানা গেছে, মো. ফজলে এলাহি ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তার নিবন্ধন রোল নম্বর ৩১৪২৮২৩৮। জাতীয় মেধাতালিকায় তার অবস্থান ২১ হাজার ৩৬১। চাপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে যারা সুপারিশ পেয়েছেন তাদের সকলের মেধাতালিকাই ফজলে এলাহির চেয়ে বেশি।

শিবগঞ্জ উপজেলার সুপারিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই উপজেলার তারাপুর দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিশ পেয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মো. আব্দুল হালিম। মেধাতালিকায় তার অবস্থায় ২৩ হাজার ২৬৭। ঘুঘু ডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিশ পেয়েছেন মো. আসাদুল্লাহ গালিব। তার মেধাতালিকা ২৯ হাজার ৮৯।

একইভাবে উপজেলার মনকষা দাখিল মাদ্রাসা, ভবানীপুর দারুল হাদিস ফাজিল মাদ্রাসা, রাধাকান্তপুর ফাজিল মাদ্রাসা, শারতনগর দাখিল মাদ্রাসা, শিবগঞ্জ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, বলিয়াদিঘী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসা, চাখলা দাখিল মাদ্রাসা, ছাত্রা ইসলামী সংস্কৃতিক কেন্দ্র, আহছানুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসাসহ অন্যান্য মাদ্রাসায় ফজলে এলাহির চেয়ে পিছিয়ে থাকা নিবন্ধনধারীরা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

মো. ফজলে এলাহি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলবে। পরিবার নিয়ে একটু সুখে দিন কাটাতে পারব। তবে সেটি আর হলো না। এখন আমি কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আত্মহত্যাই হয়তো আমার সব সমস্যার সমাধান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যেহেতু এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়েছে; সেহেতু সুপারিশের ক্ষেত্রে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা প্রার্থীদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবো।