শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তাঁর নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে চলচ্চিত্রের তিন সমিতির কাছে এই প্রযোজক শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়নের সময় শাকিব খান নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হত। এই  যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরকেই দিতে হতো।

এছাড়াও অভিযোগপত্রে শাকিবের অসদাচরণ সসম্পর্ক বর্ণনা দিয়ে দাবি করা হয়েছে, একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ (মামলা নাম্বার : NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯) দায়ের করে। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। 

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটে পুলিশের পিটুনি, ১০ সাংবাদিক আহত

রহমত উল্লাহ আরও দাবি করেন, ওইদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান। এরপর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গেলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।

এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার এই লিখিত অভিযোগটি গ্রহণ করার কথা নিশ্চিত করে বলেন, শিল্পী সমিতিসহ প্রযোজক, পরিচালক, ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশনে ওই প্রযোজক অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তো আসলে যে কেউই যে কারও নামে করতে পারে। তবে সেই অভিযোগের সত্য মিথ্যা যাচাই করা না পর্যন্ত কিছুই বলতে পারব না। 

তিনি আরও বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। এখানে তথ্য যাচাই বাছাই করা খুব জরুরি। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।

এ অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানাতে শাকিব খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।