শিক্ষাসফরে মারধরের ঘটনায় তিতুমীর কলেজ কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা

তিতুমীর কলেজ
শিক্ষাসফরে মারধরের ঘটনায় তিতুমীর কলেজ কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা

নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা সফরে গিয়ে স্থানীয়দের মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায়, কলেজের ৯০ শিক্ষার্থীকে শোকজ করার পর নতুন নির্দেশনা দিয়েছে তিতুমীর কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় অধ্যক্ষ ফেরদৌস-আরা বেগমের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরী সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শৃঙ্খলা কমিটি প্রতিদিন সকাল ৯টায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষন করে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট রিপোর্ট প্রদান করবেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে যে সকল বিভাগের পাঠক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষাসফর অনুমোদিত, তারা এবং ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশির বিধি বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদন ক্রমে অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে শিক্ষাসফরে যেতে পারবে। অর্থাৎ ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষ কেউ আর শিক্ষা সফর আয়োজন করতে পারবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কলেজের নাম ব্যবহার করে কলেজের বাইরে সরকারি / বেসরকারি কোন প্রকার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা যাবে না। কমিটি সময় সময় রাতের বেলায় কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেল হঠাৎ করে পরিদর্শন করবেন।

আরও পড়ুন: কেমন আছেন চোখ হারাতে বসা রাবির তিন শিক্ষার্থী।

এছাড়া শ্রেণী কার্যক্রম চলাকালীন কলেজ মাঠে এবং ক্যাম্পাসের কোন জায়গায় খেলাধুলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং নৈমিত্তিক পরিদর্শন দল শৃঙ্খলা কমিটির সাথে সমন্বয় করে কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে একযোগে কাজ করবেন বলেও সভায় নির্দেশনা দেয়া হগয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মোঃ মোজাককার হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক এ. এস. এম. আসাদুজ্জামান খান ও সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবু জাফর, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মো: আব্দুল কাদের এবং সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা।

এর আগে গত ১১ মার্চ নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা সফরে গিয়ে স্থানীয়দের মারধরের শিকার হন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। হামলায় প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

অপরদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা না নিয়ে খোদ তিতুমীর কলেজের ৯০ শিক্ষার্থীকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ প্রশাসন। আহতদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন তারা। এছাড়া তাদের অভিভাবকদেরও কলেজে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।