৪৫তম বিসিএসের তারিখ নির্ধারণে সভা কাল

৪৫তম বিসিএস
সরকারি কর্ম কমিশন

৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে, তা চূড়ান্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার সভায় বসবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি’র একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি জানিয়েছে। কবে পরীক্ষা হবে, তা আগামীকাল নির্ধারণ করা হতে পারে।

জানা গেছে, ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্নপত্র ছাপানোর বিষয়ে গত ১০ মার্চ সংশ্লিষ্ট প্রেসের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছে পিএসসি। প্রশ্নপত্র ছাপানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। প্রেসের বক্তব্যের আলোকে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল একটি বিশেষ সভা হবে।

পিএসসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন তৈরির কাজ বেশ কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র ছাপানো এবং আসন্ন রমজানের কারণে মার্চ কিংবা এপ্রিল মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। আগামী মে মাসের শুরুতে এই পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র একজন কর্মকর্তা সোমবার (১৩ মার্চ) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করতে আগামীকাল আমরা সভা করবো। সভায় পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হতে পারে।

জানতে চাইলে পিএসসি’র সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা মার্চে হচ্ছে না। এটি নিশ্চিত। কবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সে বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ওয়েবসাইটে ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১০ ডিসেম্বর আবেদনের শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। এতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার প্রার্থী। 

৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি।

২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।