তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং

শি জিনপিং
শি জিনপিং

ঐতিহাসিকভাবে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং।কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) চেয়ারম্যান হওয়া থেকে ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। খবর বিবিসির

শুক্রবার (১০ মার্চ) ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে চীনা আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যদিয়ে ১৯৪৯ সালের পর দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘ সময় শাসন করার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ৬৯ বছর বয়সী শি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার তৃতীয় মেয়াদের নিশ্চিতকরণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল। আগামী দিনে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীর নামকরণ আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা সবাই শি জিনপিংয়ের অনুগত বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লি কিয়াং, যিনি মি. শির দুই নম্বর হিসেবে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাসফর আর ফলাফল নিয়ে রাবির উর্দু বিভাগে তুঘলকি কাণ্ড।

বিবিসি আরও জানায়, মি. শি তার শাসনকে দৃঢ় করেছেন কারণ চীন তার ক্ষতবিক্ষত শূন্য-কোভিড নীতি থেকে পুনরায় চালু হয়েছে যা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে।

জানা গেছে, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২ হাজার ৯শ ৫২ ভোট পেয়েছেন শি জিনপিং। বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আইনপ্রণেতারা উঠে দাঁড়ান এবং শির পক্ষে হাততালি দেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দেয় সংসদ। এর আগে, ২০১৮ সালেও সর্বসম্মতিক্রমে জিতেছিলেন তিনি।

গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, দ্রুতই লি কিয়াংকে চীনের প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে। শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন লোক তিনি। চীনের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিসহ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে এসব পরিবর্তন করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট শি, বর্তমানে প্রায় সব সিদ্ধান্তই তিনি নেন।

উল্লেখ্য, চীনের প্রেসিডেন্টের পদটি মূলত আলংকারিক। মূল ক্ষমতাবান হলেন পার্টি চেয়ারম্যান ও সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। আর এ দুটি পদেই রয়েছেন শি। এর আগে, গতবছর ২২ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সম্মেলনে শি জিনকে দলের মূল নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে, যা মাধ্যমে ক্ষমতায় বসা পাকাপোক্ত হয় তার।