ডিআইইউতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে মারামারি, কেউ হাসপাতালে-কেউ কারাগারে

ডিআইইউতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে মারামারি, কেউ হাসপাতালে-কেউ কারাগারেডিআইইউতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে মারামারি, কেউ হাসপাতালে-কেউ কারাগারে
ডিআইইউতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে মারামারি, কেউ হাসপাতালে-কেউ কারাগারে

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) তিন শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। আধিপত্য বিস্তার ও সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম; ২২তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের জোবায়ের এবং তার সহযোগী একই ব্যাচ ও বিভাগের মুরসালিন। বাড্ডা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১টার দিকে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইনজামামুল হক মুহিদ, বিএম সাকিব হোসেন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান গুরুতর আহত হয়েছে৷ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তাদের অভিযোগ করছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ছাত্রাবাসে অভিযুক্তরা তাদের অকথ্য গালিগালাজের পর লাঠি সোটা এবং রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এরপর তারা জাতীয় জরুরী সেবায় কল করলে হলে বাড্ডা থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা এসে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেয়৷

এ বিষয়ে ভিকটিম ইনজামামুল হক মুহিদ জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে তারা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে এবং নতুনদের নিজ কক্ষে ডেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। আমার থেকে জুনিয়র হওয়াতে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করায় আমার ও আমার সহপাঠীদের উপর হামলা চালিয়েছে। পরে আত্মরক্ষার জন্য আমি ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন জানান, আহতরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখনো ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে৷  ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ আটককৃতরা ওসি স্যারের কাছে রয়েছে। তাদের অভিভাবক আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে প্রক্টর আবু তারেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন থানায় অবস্থান করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।