‘কৃত্রিম’ আবাসন সংকটের প্রতিবাদ

প্রশাসনিক ভবনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেন জাবি শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা

তিন দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসনিক অবরোধ করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। রোববার (৫ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটকে ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়ে দেন তারা। অবরোধ চলাকালে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনের ভিতরে ঢুকতে না পেরে বাইরে দাড়িয়ে থাকেন। 

দাবিগুলো হলো- গণরুম, মিনি গণরুম উচ্ছেদ করে প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীর আসন-টেবিল-চেয়ার নিশ্চিত করা, অবিলম্বে সব নতুন হল খুলে কৃত্রিম আবাসন সংকট দূর করা এবং আসন বণ্টন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রশাসনকে নেওয়া।

অবরোধে অবস্থান নেওয়া ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব বলেন, এসব দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। নামমাত্র এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ব্যবস্থা চিরকাল ছিল না। এর আগে সকল বৈধ শিক্ষার্থীকে সিট দিতে পারলেও এখন কেন পারছে না। এটার সমাধান ছিল উন্নয়ন প্রকল্পের ছয়টি নতুন হল নির্মাণ।

তিনি বলেন, দেড় বছর পার হয়ে গেলেও প্রশাসন হলগুলো উদ্বোধন করতে পারেননি। একের পর এক আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় আজকে আমাদের এই কর্মসূচি।

এ সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘আমরা এর আগে একটি শিক্ষার্থীদের গণরুম বিলুপ্তির জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি আমলে নেয়নি। আমদের দাবি আদায় না হওয়া প্রর্যন্ত আমরা এ অবরোধ চালিয়ে যাব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আবাসন সঙ্কট সমাধানে দু’টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আরও দু’টি হল মার্চের মধ্যে খুলে দিতে পারবো বলে আশাবাদী। তাহলে অধিকাংশ সমস্যারই সমাধান হবে। শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, আজকের মধ্যেই হলগুলো খুলে দিতে হবে। ১০তলা বিশিষ্ট হলে লিফট এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া কীভাবে চালু করবে?

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক নাসির উদ্দীন বলেন, হলগুলোর ফার্নিচারসহ অন্যান্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমরা সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছি। কিন্তু সরকার এ মূহুর্তে বাজেট অনুমোদন করছে না। তবে ৩০ মার্চের মধ্যে ১৭ ও ২০ নম্বর হল চালু করতে পারবো বলে আশা করি।

অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এসে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘তোমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তবে ঢাকায় আজকে আমার একটি জরুরি মিটিং আছে। আমি কালকের মধ্যেই একটি কমিটি গঠন করবো। আগামী সাতদিনের মধ্যে অছাত্রদের হল ত্যাগ করার জন্য কঠোর আদেশ দিচ্ছি।’