মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা ওইদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১১টায়। এ পরীক্ষা উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে  স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

নির্দেশনাগুলো হলো- উত্তরপত্রের (OMR Sheet) উপর মুদ্রিত ১০ (দশ) অঙ্কের Set Codeটি প্রশ্নপত্রে মুদ্রিত Set Code-এর সাথে না মিললে কিংবা প্রশ্নপত্রে ক্রমানুসারে এক থেকে একশতটি প্রশ্ন না থাকলে উত্তরপ্রশ্নপত্রটি পরিবর্তন করে নিতে হবে; উত্তরপত্রের সকলস্থানেই কালো কালির বল পেন ব্যবহার করতে হবে।

Roll No. ও Serial No. নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজিতে লিখে তারপর সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো তদানুযায়ী যথাযথভাবে ভরাট করতে হবে। কোন প্রকার ঘষামাজা বা কাটাকাটি করলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে; বৃত্তগুলো নিচের প্রদর্শিত পদ্ধতিতে এমনভাবে ভরাট করতে হবে যেন ভিতরের লেখাটি দেখা না যায়।

উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশপত্র অনুযায়ী স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে এবং স্পষ্টভাবে নাম লিখতে হবে, অন্যথায় উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে; উত্তর প্রদান করার আগে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্রের সাথে সংযুক্ত এই উত্তরপত্র (OMR Sheet ) টি নিজ দায়িত্বে সাবধানতার সাথে আলাদা করে নিতে হবে।

প্রশ্নপত্রের সাথে দেয়া উত্তরপত্রে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য চারটি সম্ভাব্য উত্তরের বৃত্ত রয়েছে। তার মধ্য হতে সঠিক উত্তরের বৃত্তটি পরিচ্ছন্নভাবে উপরে প্রদর্শিত নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ ভরাট করতে হবে; উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট বৃত্তসমূহ ভরাট করা এবং নির্দেশিত স্থানে যথাযথ তথ্য প্রদান করতে হবে। এতদ্ব্যতিত অন্য কোন স্থানে কিছু লিখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং লিখলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

খসড়ার জন্য প্রশ্নপত্র ব্যবহার করা যাবে। কোন পৃথক কাগজ ব্যবহার করা যাবে না। প্রশ্নপত্রের কোন অংশ ছেড়া যাবে না কিংবা কারও সাথে বদল করা যাবে না; উত্তরপত্রে হল পরিদর্শকের স্বাক্ষর করার সময়ে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র আলাদা করা অবস্থায় রাখতে হবে; উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে হল পরিদর্শকের স্বাক্ষর গ্রহণ এবং সম্পূর্ণ নাম লিখা নিশ্চিত করতে হবে। কর্তব্যরত হল পরিদর্শকের স্বাক্ষর ও নামবিহীন উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরীক্ষা শেষে হল পরিদর্শকগণ প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র আলাদা অবস্থায় পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে গ্রহণ করবেন এবং আলাদাভাবে নির্দিষ্ট খামে ভরবেন।

আরও পড়ুন: এবারও বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা ২ ধাপে, আবেদন শুরু ১ মার্চ

উত্তরপত্র মূল্যায়ণ নীতিমালা: প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।

পরীক্ষার হলের শৃংখলা সংক্রান্ত সাধারণ নিয়মাবলী: পরীক্ষার্থীকে হল পরিদর্শকের নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। ১৫. পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং হল পরিদর্শকের অনুমতি ব্যতীত পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে দেয়া হবে না।

পরীক্ষার্থীকে অসুদপায় অবলম্বন অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে অথবা অন্যের সাহায্য নিতে অথবা অন্যকে সাহায্য করতে দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, কোন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, হাতঘড়ি বা পকেটঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এরপরও পরীক্ষার হলে কারো কাছে উল্লিখিত নিষিদ্ধ কোন কিছু পাওয়া গেলে অথবা কাউকে এ ধরনের কোন ডিভাইস ব্যবহার করতে দেখা গেলে তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরীক্ষার হলে সকল পরীক্ষার্থী কোভিড ১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন; কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুই কান ঢেকে রাখতে পারবেন না। হল পরিদর্শকগণ উত্তরপত্রে স্বাক্ষর প্রদানের সময়ে সনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীর মুখমন্ডল খোলার নির্দেশনা দিতে পারবেন।

জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো মোট আসন রয়েছে চার হাজার ৩৫০টি। এবার মেডিকেল ভর্তির জন্য মোট আবেদন পড়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার। সে হিসেবে প্রায় ৩২ জন আসনপ্রতি লড়বে। আর বেসরকারি মেডিকেলে আসন রয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি। সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৫১৮টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে নামবেন শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে আসনপ্রতি প্রায় ১৬ জন পরীক্ষায় বসবেন।