কুবির শূন্য আসনে ভর্তির দাবিতে স্মারকলিপি

সেশনজট
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবিতে কুবি রজিস্ট্রার অফিস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুর ১২ টায় এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছভুক্ত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে কুবিতেও গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফাঁকা আসন পূর্ণ করার দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে, ৫ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আনুষ্ঠানিক ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী  ‘এ’ ইউনিটে একটি; ‘বি’ ইউনিটভূক্ত (বিভাগ পরিবর্তনজনিত আসন ৪৪টি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৮টি, বিজ্ঞান অনুষদে ৪২টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ২টিসহ মোট ৫৩টি আসন ফাঁকা রয়েছে। ৫৩ টি আসনের মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত প্রত্নতত্ত্ব বিভাগেই রয়েছে ২৪টি আসন ফাঁকা, এছাড়া নৃবিজ্ঞান বিভাগে ১৭টি ফাঁকা আছে । 

আরও পড়ুন: গুচ্ছে থাকার বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভা আজ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্মারকলিপি প্রদানকারী এক ভর্তিচ্ছু বলেন, ‘আমি একজন গুচ্ছ পরীক্ষার্থী ছিলাম। কিছু ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে শুধুমাত্র কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। আশায় ছিলাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক পাবো। কিন্তু যখন কাট মার্ক আমার নম্বরের কাছাকাছি এলো তখন তারা ৫৩ সিট খালি রেখে ভর্তি বন্ধ করে দিল। ফলে আমার এতবছরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।’

এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, স্মারকলিপি জমা দেয়ার পর তারা আমাদের বলেছে ভর্তি কার্যক্রম একবার যেহেতু সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে তাই এখন তাদের কিছু করার নেই। পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে গুচ্ছের কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি প্রয়োজন হবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এখনও ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখতে পারে তাহলে কুবি পারবে না কেন?

আরো পড়ুন: রেলওয়ের কমিটি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ঢাবির সেই রনি

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, আমরা এত নিচের দিকে নামতে চাইনা, গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ ধরনের কোয়ালিটির ছাত্র আমরা নিতে চাই না। আর আমরা যে ছাত্র চাই সে ছাত্র যদি না পাই তাহলে তো আমরা নিতে পারবো না। 

এছাড়া, আমাদের জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে, এখনও যদি আমরা ভর্তিই নিতে থাকি, তাহলে সেশনজট হবে। আমরা এবার একাডেমিক ক্যালেন্ডার স্ট্রিক্টলি ফলো করতে চাচ্ছি। শুধু এক দুইটা বিভাগের জন্য শিক্ষার্থী পাচ্ছি না আমরা, বাকি সব বিভাগের আসন পূর্ণ হয়ে গেছে।