চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: ৬৮ হাজার পদ পূরণ হবে না

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে। এই নিয়োগের মাধ্যমে সব পদ পূরণ হবে না বলে জানা গেছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬৮ হাজার ৩৯০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন। মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন। তবে সবগুলো পদ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণ হবে।

ওই সূত্রের মতে, ৬৮ হাজার ৩৯০টি পদের মধ্যে অনেকগুলো পদে নারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে আবেদন করা নারী প্রার্থীর সংখ্যা খুবই কম। এ কারণে নারী পদের বড় একটি অংশ ফাঁকা থাকবে। এছাড়া পুরুষ প্রার্থীদের মধ্যেও বেশ কিছু পদও ফাঁকা থাকবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তিতেই পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ হয় না। আমরা বিজ্ঞপ্তিতে যে পদ সংখ্যা উল্লেখ করে দেই সেই শিক্ষক যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় না। কাজেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতেও সকল পদ পূরণ হবে না।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা ৫০ থেকে ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারব। বাকি পদগুলো ফাঁকাই থেকে যাবে। এই পদগুলো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ৬৮ হাজার ৩৯০টি পদেই শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করতে চাই। তবে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। কিছু পদ হয়তো ফাঁকা থেকে যাবে।

এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয় ২৯ ডিসেম্বর থেকে। এতে এক লাখের বেশি নিবন্ধনধারী আবেদন করেন। প্রথমবারের মতো গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।