সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কে এই শাহীন
- ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৪
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে সুনামগঞ্জের ছাতকে এক প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তবে ঘটনাস্থলে থাকা সেই বাড়ির এক প্রবাসীর উপস্থিত বুদ্ধিতে এই ঘটনায় ৪ জন ডাকাত ধরা পড়েছিল। এরপর গণমাধ্যমকে ডাকাতির বর্ণনা দিয়ে গিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাসুক মিয়া তার ছোট ভাইকে বলেছিলেন, “শাহীন নটীর পোলাকে ধরে ফ্যাল।” এ ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি আপলোড করা হলেও প্রায় দুই মাস পর সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ডাকাত ধরার বর্ণনা দেওয়া সেই প্রবাসীর বক্তব্যটি।
জানা যায়, এই ঘটনায় মূল হিরো যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাসুক মিয়া। তিনি সাহস করে একাই দুইজন ডাকাতকে ধরেছিলেন। কিভাবে কৌশলে তাদের ধরেছিলেন ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে সেটাই বর্ণনা দিচ্ছিলেন মাসুক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন শাহীন। তাকে নিয়ে নানানভাবে ট্রল করা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে স্যাটায়ার ও মিম। অন্যদিকে, মাসুকের নামই আলোচনায় আসেনি।
ওই ঘটনার পর প্রকাশিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামছুল আলম শাহীন হচ্ছে মাসুক মিয়ার ছোট ভাই। ডাকাতির সময় শাহীনসহ তারা তিনভাই বাসায় ছিলেন।
অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মাসুক মিয়া বলেন, ডাকাতি করে তারা (ডাকাতরা) বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। এসময় আমি শাহীনকে বলি, শাহীন নটীর পোলাকে ধরে ফ্যাল। ওই সময় একসঙ্গে দুইজন ডাকাতকে ধরলে একজন ছুটে যেতে চাইলে শাহীনকে উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি বক্তব্যটি ভাইরাল হলে হাবিব উর রহমান নামে একজন লেখেন, কে কিভাবে পরিচিত হয় তা বলা মুশকিল। সুনামগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় মূল হিরো মাসুক। তিনি সাহস করে একাই দুইজন ডাকাতকে ধরেছিলেন। কিন্তু ট্রল হচ্ছে শাহীনকে নিয়ে। মাসুকের নামই আলোচনায় আসেনি।
সজিব আহমেদ নামে একজন লিখেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ছাতকের নিবাসী শাহীনের প্রবাসী বড় ভাইয়ের বক্তব্যে। ভিডিওটি দুই মাস আগে অনলাইনে ছাড়া হয়েছে। এই ভিডিও দেখে আমি একা একা হাসছি টানা তিনদিন!
সেদিন যা ঘটেছিল: ২৭ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাসুক মিয়া ও শামছুন নূর কালামিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী ডাকাত দল হানা দিয়ে ২১ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইলসেটসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
“ওই বাড়ির গেট ও দরজা ভেঙ্গে ১০/১২ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তান্ডব চালায়। এসময় একই ভবনে থাকা হাসনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন মো. মহসিন ও ইতালী প্রবাসী সেলিম আহমদের রুমে হানা দিয়ে ৩টি ঘর থেকে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি মোবইল ফোন, আড়াই লাখ টাকা সমমুল্যের পাউন্ড ও ডলার, নগদ ৯৩ হাজার টাকাসহ মোট ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।”
“ডাকাত দলের তান্ডবে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ডাকাতের খবর প্রচার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ধাওয়া করে ৪ ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দেয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশীয় পাইপগান ও একটি চায়নিজ কুড়াল। পরে আটককৃত ডাকাতদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।”