ঢাবিতে ভাসমান দোকান উচ্ছেদে অভিযান, স্বাগত জানাল শিক্ষার্থীরা

ঢাবি ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে ভাসমান অবৈধ দোকানের উচ্ছেদ অভিযান। প্রক্টরিয়াল টিমের তথ্য অনুযায়ী গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ক্যাম্পাসে সকল ভাসমান দোকান উচ্ছেদের বিষয়ে ঘোষণা দেন। ঘোষণার পূর্বে টিএসসি এলাকায় ৩০০ থেকে ৩৫০ ভাসমান দোকান ছিল। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভাসমান দোকানের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিম টিএসসি এলাকাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায়  কমপক্ষে ২০ টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে প্রক্টরিয়াল টিম। এছাড়াও ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার চত্বর, ভিসি চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে প্রক্টরিয়াল টিম।

প্রক্টরিয়াল টিমের তথ্য অনুযায়ী, তারা গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৪০০ টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছেন।

প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের সহায়তা করে তাহলে ক্যাম্পাস ভাসমান দোকান মুক্ত রাখা সম্ভব। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আমাদের কার্যক্রমের বিষয়ে পজিটিভ।

এদিকে শিক্ষার্থীরাও প্রক্টরিয়াল টিমের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন দৈনিক ৩/৪ বার এ অভিযান অব্যাহত রাখে। তা না হলে আগের মতোই ভাসমান দোকানে ক্যাম্পাস পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভাসমান খাবারের দোকানগুলো নিয়মিত উচ্ছেদ করা গেলে বহিরাগত লোকজনের উপস্থিতিও কমে আসবে।

উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা শিক্ষার পরিবেশ ও ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের উপাচার্য বলেছেন আর কোনো অনিয়ম আমরা বরদাস্ত করবো না। ইতোমধ্যেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ও গণমাধ্যম আমাদের সহযোগিতা করছে। সবার সহযোগিতা পেলে আমাদের কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত থাকবে।